Saturday, April 30, 2016

palm tree long lien




কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটূয়াখালীর কলাপাড়ায় বেড়ি বাঁধ রক্ষায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় বাঁধের দুই পাশে তালের বীজ রোপন করেছে। 
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশের অর্থায়নে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ুর অভিযোজন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ উপজেলার নীলগঞ্জ ও টিয়াখালী ইউনয়নের ১৮টি গ্রামের প্রায় ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও রাস্তার পাশে ৫ হাজার তালের বীজ রোপন করা হবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। এছাড়া এগাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দুইজন করে সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
নাচনা পাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ওয়ার্ল্ড কনসার্নের সহায়তায় গ্রামে গ্রামে বীজ রোপনের কাজ শুরু হওয়ায় গাছ লাগানোর দিকে লোকজনের আগ্রহ বেড়েছে।
 
ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশের উপজেলার সমন্বয়কারী জেমস রাজিব বিশ্বাস জানান, দেশীয় প্রজাতির গাছ রক্ষা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এছাড়া এ গাছগুলো ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সহায়ক হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জানান, মাটির গুণাগুণ বিবেচনায় কিছু কিছু প্রজাতি অঞ্চল ভেদে ভালো জন্মে। তাল, নারিকেল ও খেজুর জাতীয় গাছগুলো খুবই লবণ সহিষ্ণু। মাটির ক্ষয় রোধ, অল্প ছায়া বিস্তার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ উদ্যোটি খুবই ভালো।

আমরা তাদের স্বাগত জান্‌

সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষে “পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি”




আশা করে গাছ লাগানো শুরু করলাম। তবে কেন তালগাছ? প্রশ্ন অনেকে করে।(তালগাছ কেন ফসলের ক্ষতি করেনা। তালের বোটা অত্যাধিক মজবুত এটা সহজে ঝরে পড়ে না, এর শিকড়,বাডাল পালা সব সময় উপরে এবং নিচের দিকে যায়। যা পাশে কোন ফসলের ক্ষতি হয় না।) ১৫-১৬ বছর আগে গাছ লাগানো শুরু করি, তখন এত আশা ছিল না। তখন বুঝতাম তালগাছ লাগিয়ে বড় হয়ে গাছ কাটব আর রস দিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রয় করব। অনেক গাছ লাগালাম প্রায় ৫০ টি গাছ। কিন্তু কেন যেন ভাবলাম যখন এই গাছ বড় হবে অন্যরা আফসোস করবে। তখন অন্যেরে জমিতেও তালগাছ লাগালাম। এক সময় সব আশা আস্তে আস্তে বিলিন হয়ে গেল। ১৫ বছর পর একদিন আফসোস হলো যদি সেদিন আরও ১০০০ এক হাজার গাছ লাগাতাম তবে আজ দেখতে কেমন হতো? কত ফল তাতে ধরত? কত মানুষের উপকার হত এই গাছ থেকে? আবারও স্বপ্ন মনের মাঝে নাড়া দিতে লাগল। শুরু করলাম গাছ লাগানো। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ আমর কিছু বন্ধু নিয়ে ১০ কিঃ মিঃ রাস্তায় তালের চারা রোপন করলাম। আমাদের কার্যক্রম দেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুশি হয়ে ৫০ টি বাসা বাড়িতে ১৫০ পিছ ফলজ বৃক্ষ আমার মাধ্যমে বিতরণ করে , উৎসাহ আরও বেড়ে গেল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ আমরা আবারও ১০ কিঃ মিঃ মোট ২০ কিঃ মিঃ রাস্তা তালগাছ সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে, নিজ খরচে রোপন করেছি, যেহেতু স্বপ্নের পাশাপাশি “পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি” তৈরীর চেষ্টাই আছি তাই আগামি বছর আমরা ১০০ কিঃ মিঃ রাস্তা বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যাহাতে একটা বিশাল অংকের আীর্থক, সময়, শ্রম প্রয়োজন তাই সকল বৃক্ষ প্রেমী ও সমাজ সেবক ভাই/বোন আমাদেও সাথে অংশ নিয়ে “পৃথিবীর দির্ঘতম তালের সারি” তৈরীতে সহযোগিতা করতে পারেন। একটি গাছ হতে পারে আপনার জীবনের রক্ষা কবচ। এই গাছ আপনার আমার সুন্দর পৃথিবীর একটি বড় ভুমিকা পালন করে। তাই সকলে এই গাছকে বাঁচিয়ে রাখার সাথে সাথে শৈলপিক কারিগর, প্রাকৃতিক সৈন্দয্য কবি রজনি কান্ত এর স্মৃতি বহন কারী পাখি ‘বাবুই’ তাকে সুন্দর ভাবে বাচার অধিকার দিয়ে আমাদের মানব জীবন স্বার্থক করি। সার্বিক যোগাযোগ-০১৮১৮ ৬৫ ৫০ ৯০

“পৃথিবীর দির্ঘতম তালগাছের সারি তৈরীর লক্ষে”

The longest palm tree row in the world

প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যব্যবহারে আপ্রাণ প্রচেষ্টা নাগরিক কর্তব্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে (বনায়ন বৃদ্ধি, রাস্তার মাটি ক্ষয়রোধ, শিল্প ...